সফটওয়্যার কি? সফটওয়্যার সম্পর্কিত পরিপূর্ণ গাইডলাইন

সফটওয়্যার কি - সফটওয়্যার হল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কর্তৃক কতগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটার পরিচালনা এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি অদৃশ্যমান উপাদান হিসেবে কম্পিউটারের ব্যাকেন্ডে কাজ করে।
what is software

ডিভাইসে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন গুলোর স্ক্রিপ্ট তথা প্রোগ্রাম সমূহকে বুঝানোর জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ইউজার নির্দেশিত সফটওয়্যারের ইন্সট্রাকশনের ধারাবাহিকতায় কম্পিউটার কাজ করে থাকে।

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সমন্বয়ের ফলে একটি কম্পিউটার পরিপূর্ণতা পায়। কম্পিউটার শিক্ষা ফ্রি কোর্সের ৩য় ক্লাসে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যদি না দেখেন তাহলে অবশ্যই দেখে নিবেন।

কম্পিউটার শিক্ষা ফ্রি কোর্সের ৪র্থ ক্লাসে সফটওয়্যার কি, সফটওয়্যার সম্পর্কিত পরিপূর্ণ তথ্যের একটি কমপ্লিট গাইডলাইন স্টেপ বাই স্টেপ উল্লেখ করেছি। যা আপনাকে অবশ্যই উপকৃত করবে।

সফটওয়্যার ব্যতীত কম্পিউটারে কাজ করার মতো কিছুই নেই। কম্পিউটার সম্পূর্ণ অচল যদি না প্রসঙ্গ টা সফটওয়্যারের হয়। সফটওয়্যার নিয়েই যেহেতু সারাক্ষণ কাজ করতে হবে, এজন্য সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা সবার জন্য জরুরী।

পেজ সূচিপত্রঃ সফটওয়্যার কি? এর পরিপূর্ণ গাইডলাইন

সফটওয়্যার কি?

সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রোগ্রামারদের মাধ্যমে লিখিত কোডের নির্দেশাবলির মাধ্যমে গঠিত। কম্পিউটার ভিত্তিক কোন কাজই সফটওয়্যার ব্যতীত সম্পাদিত হয় না।

সফটওয়্যার নির্দিষ্ট প্রয়োজনে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে সকল অপশন ব্যাবহার কারীদের জন্য উল্লেখ থাকে, সেগুলো ব্যতীত ব্যবহার যোগ্য হয় না। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি সফটওয়্যার কার্যভেদে ভিন্ন টাইপের হয়ে থাকে।

আপনি এই আর্টিকেলটি হয়তো মোবাইল, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ/কম্পিউটার ব্যবহার করে পড়ছেন। আপনার কাছে একটি প্রশ্ন-এই ডিভাইস গুলো কিসের মাধ্যমে আপনাকে উক্ত পোষ্টটি পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে?

এই বিষয় সংশ্লিষ্ট ধারণা থাকলে হয়তো বলতে পারবেন। কিন্তু যারা না জানে তারা হয়তো হা-হয়ে-ত্বমকে গেছে। প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ব্রাউজার। আপনি ব্রাউজার এর মাধ্যমে এই পোষ্টটি পড়ছেন। আর ব্রাউজার হচ্ছে একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

যদি ফাইল ট্র্যান্সফার করার সফটওয়্যার উল্লেখ করি তাহলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার কারীরা Share it নামক অ্যাপ্লিকেশন এর কথা হয়তো সবাই বলতে পারবে। Share it সফটওয়্যার এর মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ট্রান্সফার করা হয়।

ব্রাউজার এর মাধ্যমে কি ফাইল ট্র্যান্সফার করা যায়? না! কারণ প্রতিটি সফটওয়্যারের কাজ ভিন্ন ভিন্ন এবং প্রত্যেকটি সফটওয়্যার নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ডেভোলাপমেন্ট করা হয়। আশা করি Software কি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

সফটওয়্যার এর সংজ্ঞা। সফটওয়্যার কাকে বলে?

সফটওয়্যারকে যদি গুছিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে হয় তাহলে বলতে হবে সফটওয়্যার হচ্ছে কত গুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি, যা কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন অর্থাৎ নির্দেশ দেয় কিভাবে কাজ করবে। 

তবে এখানে উল্লেখ্য বিষয় হচ্ছে সফটওয়্যার কখনোই কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন দিতে পারে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন কম্পিউটার ব্যবহার কারী সফটওয়্যারকে নির্দেশ দেয়।

ব্যবহার কারী একটি সফটওয়্যারে যা নির্দেশ দিবে সেটার জন্য সফটওয়্যারে যেভাবে প্রোগ্রাম করা থাকে সেটাকে-কেন্দ্র করে কম্পিউটার তার কার্যক্রম করে এবং সেই সফটওয়্যার এর মধ্যমেই আউটপুট দিয়ে থাকে।

সফটওয়্যারের প্রকারভেদ - সফটওয়্যার কত প্রকার?

সফটওয়্যার  ২ প্রকার সফটওয়্যার। 

নিচে ২ প্রকার সফটওয়্যার নিচে আলোচনা করা হলঃ
  1. সিস্টেম সফটওয়্যার
  2. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software)

সিস্টেম সফটওয়্যার হচ্ছে এক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে পরিচালনা করতে তৈরি করা হয়। সিস্টেম সফটওয়্যারকে কম্পিউটারের প্রাণ বলা হয়।

সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস তৈরি করে। সিস্টেম সফটওয়্যার পরিচালনা করতে ব্যবহার কারীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না। কম্পিউটার নিজেই তা পরিচালনা করতে পারে।


সিস্টেম সফটওয়্যার ইউজারদের জন্য তৈরি করা হয়, যাতে তারা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলো চালাতে পারে। ইউজার যা কমান্ড করবে তার কার্য সম্পাদন করে সিস্টেম সফটওয়্যার।

ব্যাবহার কারীরা সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাথে সরাসরি কমিউনিকেট করতে পারে না। সিস্টেম সফটওয়্যার শুধু কম্পিউটারের মৌলিক ফাংশন পরিচালনা করে।

কম্পিউটার চালু হওয়ার সাথে সাথে সিস্টেম সফটওয়্যার লোড হওয়া শুরু করে এবং ততক্ষণ সিস্টেম সফটওয়্যার এর কার্যক্রম থাকে যতক্ষণ কম্পিউটার চলমান থাকে।

সিস্টেম সফটওয়্যার শুধু অপারেটিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধতা রাখে না। অ্যাসেম্বলার, ডিভাইস ড্রাইভার, বুট প্রোগ্রাম, ট্রান্সলেটর, লিংকার, লোডারকে সংযুক্ততা রেখে কাজ করে। সিস্টেম সফটওয়ার কম্পিউটারের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

সিস্টেম সফটওয়্যারের কার্যাবলী

  • সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার এর সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে
  • কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে কানেকশন তৈরি করে
কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট এর জন্য সিস্টেম সফটওয়্যারকে ভাগে ভাগ করা যায়।  নিচে সেগুলো দেওয়া হলঃ
  1. অপারেটিং সিস্টেম
  2. ডিভাইস ড্রাইভার
  3. ইউটিলিটি
অপারেটিং সিস্টেমঃ কম্পিউটারের ইউজার ইন্টারফেস কেমন হবে সেটা নির্ধারণ করে অপারেটিং সিস্টেম। ব্যবহার কারী এবং কম্পিউটারের মধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে। কম্পিউটারের প্রধান প্রোগ্রাম হিসেবে অপারেটিং সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।

কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ব্যাতীত কম্পিউটার ওপেন করা যায় না। প্রতিটি কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করাই থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন করা যায়। 

কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম উল্লেখ করা হলঃ
  • উইন্ডোজ
  • লিনাক্স
  • ম্যাক
  • অ্যান্ডয়েড (স্মার্ট-ফোন)
ডিভাইস ড্রাইভার: ইন্টারনাল হার্ডওয়্যারকে কানেক্ট করতে ডিভাইস ড্রাইভার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারে ব্যবহ্রত ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার ডিভাইস ড্রাইভার ছাড়া কানেক্ট হয় না।

কীবোর্ড, মাউস, স্পিকার, প্রিন্টার, ক্যামেরা, স্ক্যানার ইত্যাদি হার্ডওয়্যার গুলোর ডিভাইস ড্রাইভার কম্পিউটারে ইন্সটল না থাকলে এগুলো কাজ করবে না। 

ডিভাইস ড্রাইভার গুলো অপারেটিং সিস্টেমের সাথেই দেওয়া থাকে। যদি ডিভাইস ড্রাইভার কোন সময় মিসিং থাকে তাহলে তা ইন্টারনেট থেকে ডাউন-লোড করে ইন্সটল করতে হয়। 

ইউটিলিটিসঃ কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ইউটিলিটিস কাজ করে । কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, ভাইরাস থেকে নিরাপত্তা দিতে ইউটিলিটিসের কার্যক্রম গুলো কম্পিউটারে ডিফল্ট ভাবে দেওয়া থাকে। 

নিচে ইউটিলিটিস এর কার্যক্রম গুলো উল্লেখ করা হলঃ
  • এন্টিভাইরাস
  • ডিস্ক এবং ডাটা কমপ্রেসর
  • ডিস্ক ক্লিনার
  • নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট
  • ব্যাকআপ
  • সিস্টেম নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা
বিঃদ্রঃ এই পর্যন্ত সিস্টেম সফটওয়্যারের সকল আলোচনা।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হচ্ছে কত গুলো প্রোগ্রাম প্যাকেজ এর সমষ্টি যা একজন ব্যবহার কারীর প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে। অর্থাৎ সকল সিঙ্গেল সফটওয়্যারকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। হতে পারে সেটা শিক্ষাগত, ব্যক্তিগত কিংবা ব্যাবসায়িক ক্যাটাগরির।

একজন ব্যবহারকারী যা ডাউনলোড করবে, ইনস্টল করবে, পরিদর্শন করবে এবং যার সাথে তার ইন্টারঅ্যাক্ট মাধ্যম থাকবে সেগুলোকে বলা হয় সাধারণ সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলো সর্বত্রই ব্যবহার কারীদের জন্য ডেভোলাপ করা হয়। মানুষের সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা এবং জঠিল কাজকে সহজ ভাবে করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আবির্ভাব।

ক্যালকোলেটরে হিসাব করা, অ্যালার্ম দেওয়া, গেম খেলা, ভিডিও ইডিট করা, মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা, কল দেওয়া, মেসেজ করা, ক্যালেন্ডার, ফাইল মেনেজার, ফেসবুক ব্যবহার করার সকল সফটওয়্যার গুলোই Application Software.

নিচে উইন্ডোজ এর জন্য কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করা হলঃ
  • MS Wordঃ ওয়ার্ড প্রসেসিং সংক্রান্ত কার্যসমূহে এম এস ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।
  • MS Powerpointঃ প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
  • MS Excelঃ হিসাব নিকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • Google Chromeঃ ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ ব্যবহার করা হয়।
  • My SQLঃ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • Pot Playerঃ ভিডিও দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়।
বিঃদ্রঃ এই পর্যন্ত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সকল আলোচনা।

সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের পার্থক্য

সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার কারীর জন্যই তৈরি করা হয়। তবে কার্যভেদে এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

সিস্টেম সফটওয়্যার
  • সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের ফাংশন পরিচালনা করে।
  • সিস্টেম সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর মাধ্যম।
  • সিস্টেম সফটওয়্যার মেশিন ভাষায় তৈরি হয়।
  • সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যতীত কম্পিউটার চলে না।
  • সিস্টেম চালু হলে এটা এমনিতেই কাজ করা শুরু করে।
  • সিস্টেম সফটওয়্যারকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের উপর নির্ভর করতে হয় না।
  • সিস্টেম সফটওয়্যারের অন্যতম উদাহরণ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার কারীর প্রয়োজনীয়তা মিটাতে তৈরি করে।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার কারীর জন্য একটি ইন্টারফেস মাত্র।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার C++, JAVA দিয়ে তৈরি হয়।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার কারীর মতামতের উপর ভিত্তি করে।
  • ব্যবহারকারীর অ্যাকশন ব্যতীত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চলতে পারে না।
  • সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যতীত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার অক্ষম।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হচ্ছে এমএস-ওয়ার্ড।

সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষা হচ্ছে বাইনারি। বাইনারি ভাষার দুটি ডিজিট ০ এবং ১ এর মাধ্যমে ইউজার থেকে আসা সকল কমান্ড কম্পিউটার বুঝতে পারে।

সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি হওয়া কম্পিউটার সরাসরি সফটওয়্যারের সোর্স কোড গুলোকে বুঝতে পারে না। এর জন্য কম্পাইলার নামক একটি প্রোগ্রাম সোর্স কোড গুলোকে বাইনারিতে রূপান্তর করে দেয়। ফলে কম্পিউটার তা সহজেই বঝে নেয়।

সফটওয়্যারের ফাইল এক্সটেনশন

প্রতিটি

সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করা হয়?

সফটওয়্যার হল একটি ফ্রেমওয়ার্ক যা তৈরি করা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে। তবে সফটওয়্যার তৈরিতে শুধু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজকে প্রাধান্য দিলেই হয় না।

সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম করতে হয়। পরিকল্পনাকে সফটওয়্যার তৈরির প্রাথমিক পর্যায় বলা হয়। তারপর ইউজারের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণের করতে হয়। পরবর্তী ধাপে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তাগুলি কীভাবে পূরণ করা যায় তা নির্দিষ্ট করতে হবে।

সফটওয়্যার তৈরিতে কাঠামো বা ডিজাইন হচ্ছে প্রধান আলোচ্য বিষয়। সফটওয়্যার ডিজাইন প্রক্রিয়া ব্যবহার কারীর পয়োজনীয়তাকে একটি ফর্মে রূপান্তর করে, যা বাস্তবায়িত হবে।

সফটওয়্যার প্রোগ্রামাররা সহজেই ডিজাইনের উপর ডিপেন্ড করে কোডিং কার্যক্রম শুরু করতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার প্রোগ্রামাররা ডিজাইনকে পুনরাবৃত্ত-ভাবে বিশদ যোগ এবং তা সংশোধন করে থাকে।

সফটওয়্যারের মান বজায় রাখা

গুণমান পরিমাপ করা সফটওয়্যারের কার্যকারিতা এবং অকার্যকারিতার বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে।  অকার্যকর প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যকারী প্রয়োজনীয়তা গুলোই নিশ্চিত করে প্রতিটি সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য। 

সর্বোপরি ডেটা ম্যানিপুলেশন, প্রক্রিয়াকরণ, নির্দিষ্ট ফাংশন, বহনযোগ্যতা, পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা এবং ব্যবহারযোগ্যতা ইত্যাদি বিষের  উপর কাজ করা হয় সফটওয়ারের গুণমান ঠিক রাখার জন্য। 

সফটওয়্যারের মান উন্নত করতে বাগ সংশোধন করা এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সফটওয়্যারের কোড সামঞ্জস্য করতে হয়।

সফটওয়্যার কপিরাইট

সফটওয়্যার লাইসেন্স আইনগত বাধ্যতামূলক নথিকে উল্লেখ্য করে। ফলাফল স্বরূপ সফটওয়্যার ব্যবহার এবং বিতরণকে সীমাবদ্ধ করে। কপিরাইট লঙ্ঘন না করে ব্যবহারকারী সফটওয়ারকে একাধিক কপি করার অধিকার পেয়ে থাকে।

সফটওয়্যার লাইসেন্স শর্তাবলীর মধ্যে সফটওয়্যারটির সঠিক ব্যহার, দায়বদ্ধতার সীমাবদ্ধতা, ওয়ারেন্টি, সুরক্ষা বিষয় সমূহ প্রাধান্য পায়। সফ্টওয়্যারটি কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে তার সীমাবদ্ধতা উল্লেখ থাকে সফটওয়্যার লাইসেন্সে।

সকল সফটওয়্যারের জন্য লাইসেন্স বিদ্যমান থাকে। সফটওয়্যারের সকল নিতিমালা ওনার কর্তৃক নির্ধারিত করা থাকে। সাধারাণত সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যবহার করতে হয়। তবে ইউজার সেটা ফ্রিতে পাবে, নাকি পে করে ব্যবহার করবে সেটার সিদ্ধান্ত সফটওয়্যার ওনাররা সর্বত্রই নিয়ে থাকে।

সফটওয়্যার পাইরেসি

সফটওয়্যারের অনুলিপি, বিতরণ, পরিবর্তন এবং বিক্রি করা হল সফটওয়্যার পারিরেসি। কপিরাইট নীতি প্রণয়ন করার সবথেকে উল্লেখ্য দিক হচ্ছে সফটওয়্যার পাইরেসি। সফটওয়্যার লাইসেন্সিং এর মাধ্যমে পাইরেসি নির্ণয় করা হয়।

পাইরেসি সফটওয়্যার স্বল্প মূল্যের হয় এবং এটি ব্যবহারে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয় ইউজাররা। ফলাফল হিসেবে সফটওয়্যারে ত্রুটি থাকা, ওয়ারেন্টি না থাকা, সফটওয়্যার আপডেট, ভাইরাস আক্রমণ, কম্পিউটার স্লো হওয়া এবং কপিরাইট নীতি লঙ্ঘনে আইনের আওতায় আসতে হয়।

সফটওয়্যার কোথায় পাবেন

প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমে ডিফল্ট ভাবে অল্প সংখ্যক সফটওয়্যার দেওয়া থাকে। তবে প্রয়োজন অনুসারে আরো সফটওয়্যার ইনস্টল করার সুযোগ রয়েছে।

Window-7 এর ক্ষেত্রে Internet Explorar, Windows Media Player, Paint, Calculator, Windows Photo Viewer, Windows Contact ইত্যাদি ডিফল্ট হিসেবে থাকে।

Windows-10 এর ক্ষেত্রে Microsoft  Edge, Calculator, Paint, Calendar, Camera, 3D Viewer, Photos, Movies & TV, Maps, Groove Music, Mail ইত্যাদি।

ইন্টারনেট থেকে কোন সফটওয়্যার একটি নির্দিষ্ট স্টোর থেকে সংগ্রহ করতে হয়। অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী স্টোর গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। অফলাইনে বিভিন্ন দোকানে DVD এর মাধ্যমে সফটওয়্যার সংগ্রহ করা যেতে পারে।

উইন্ডোজ এর ক্ষেত্রে- যেই কোম্পানির সফটওয়্যার সেই কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ সফটওয়্যার/অ্যাাপ্লিকেশন সংগ্রহ করতে হয়। তবে অনেক থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইটেও সফটওয়্যার পাওয়া যায়। 

অ্যান্ড্রয়েড- অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের সকল অ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে গুগল প্লে-স্টোর। সকল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভোলাপাররা তাদের অ্যাপ গুলো গুগল প্লে-স্টোরে পাবলিশ করে থাকে। থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইট গুলো এই সার্ভিস দিয়ে থাকে।

মানব জীবনে সফটওয়্যার ব্যবহারের গুরুত্ব

সফটওয়্যার সারা বিশ্বকে একত্রিত করেছে, কিন্তু মানব জীবনে প্রভাব ফেলবে না-তা কি করে হয়! গ্লোভাল বিশ্বের সকল মানুষ একে অন্যের সাথে কমিউনিকেট করছে-এর থেকে বড় সুবিধা আর কি-বা হতে পারে।

গতানুগতিক কঠিন কাজকে সহজভাবে দ্রুততার সাথে করে ফেলা, বিশ্ব বাজারে নিজেকে উপস্থাপন করা, অজস্র তথ্যের সমাবেশ থেকে জ্ঞান আহরণ করা, অচেনা স্থান সম্পর্কে জানা, ফ্রিতে ক্লাউড স্টোরেজ সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার সকল অবদান কিন্তু সফটওয়্যারের।

আমাদের শেষ কথা

আজকের ক্লাসে সফটওয়্যার কি, সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করে এর সমস্ত বিষয় তুলে ধরেছি। আশা করি সকলের উপকারে আসবে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Next Post Previous Post