ফাইবারে কাজ করার নিয়ম - Fivver Tips

ফাইবার হচ্ছে নতুনদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিগিনারদের কাজ পাওয়ার সর্বউত্তম মাধ্যম হচ্ছে ফাইবার। সেলাররা শুধু গিগ পাবলিশ করে রাখলেই ক্লাইন্ট খুঁজে খুঁজে তাদের কাজের উপযুক্ত সেলারদেরকে সিলেক্ট করে থাকে।

ফাইবারে কাজ করার নিয়ম

তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে ফাইবারের অনেক নিয়ম নীতি রয়েছে। যেগুলো প্রতিটি সেলারের জানা উচিত। কারণ নিয়ম নীতি মেনে কাজ না করলে একাউন্ট হারানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আজকের এই ব্লগে ফাইবারে কাজ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বলব।

একাউন্ট তৈরি করা

ফাইবারে কাজ করতে হলে প্রথমে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। যাদের ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট রয়েছে তাদের নামে একাউন্ট খুলতে হবে। কারণ এই ডকুমেন্ট না থাকলে ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করা যাবে না।

ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রতিটি ব্যাক্তি শুধুমাত্র একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে। তবে আপনি চাইলে আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। কিন

পার্সোনাল তথ্য শেয়ার না করা

আপনার ক্লাইন্টের সাথে কথোপকথন করা পর যদি চান আপনার কন্টাক্ট নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি দিয়ে মার্কেটপ্লেসের বাহিরে থাকে নিয়ে যাবেন, তাহলেই ফাইবার আপনাকে ধরবে। কারণ ফাইবারের নিয়ম নীতে উল্লেখ আছে কোন পার্সোনাল তথ্য আদান প্রদান করা যাবে না।

এই নিয়মের কারণ হচ্ছে ফাইবার আপনাকে দিয়ে আয় করছে। কিন্তু আপনি ফাইবারের ক্লাইন্ট বাহিরে নিতে চাচ্ছেন। যা ফাইবার কখনই আপনাকে করতে দিবে না। তাই পার্সোনাল তথ্য শেয়ার থকে বিরত থাকুন।

গিগ ডিলিট না করা - ফাইবারে কাজ করার নিয়ম

ফাইবারে কাজ পাওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনাকে গিগ পাবলিশ করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি ক্লাইন্ট পাবেন। তবে অনেকেই এই ভুল কাজটি করে থাকে যে, তাদের প্রকাশ করা গিগ ডিলিট করে দেয়। যার ফলে তাদের একাউন্টের রেংকিং হারিয়ে যায়।

গিগের ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এটা রেংক করানো। গিগ রেংক না করলে আপনি ক্লাইন্ট পাবেন না। তাই এসইও ফ্রেন্ডলি গিগ প্রকাশ করুন এবং গিগ কখনোই ডিলিট করবেন না।

ক্লাইন্টের সাথে সদাচরণ করা

আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে আসছেন টাকা আয় করার জন্য। আর টাকা আয় করতে গেলে দরকার কাজের, কাজ দিবে ক্লাইন্ট। তো ক্লাইন্টের সাথে আপনার ব্যবহার কেমন করা উচিত তা বলার ভাষা রাখে না।

তবে আপনি এটা মাথায় রাখবেন ক্লাইন্ট যেন আপনার ব্যবহার এবং কাজের কারণে কোন রিপোর্ট না দেয়। কারণ একটা রিপোর্ট আপনার একাউন্ট শেষ করে দিতে পারে।

ফাইবারের কন্টাক্ট সাপোর্টে মেসেজ দেওয়া

কন্টাক্ট সাপোর্টের কাজ হচ্ছে সমস্যার সমাধান দেওয়া। আপনার একাউন্টে কোন সমস্যা হলে সেটা ফাইবার সাপোর্টে কথা বলে সমাধান করতে পারবেন। তবে আপনাকে এটা নিশ্চিত হতে হবে অন্যান্য সমস্যা যেন না থাকে।

ফাইবারের সাপোর্টে কথা বলার পর সকল বিষয় নিয়ে আপনার একাউন্ট তারা ঝাচাই করবে। যদি সামান্য কোন ইস্যু পেয়ে থাকে তাহলে একাউন্ট শেষ। তাই যা করবেন সব বুঝে শুনে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের সহায়তা নিবেন।

একাধিক আইপি ব্যবহার না করা

প্রতিটি মোবাইলের একটি করে আইপি অ্যাড্রেস থাকে। আপনি যেই মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে ফাইবার একাউন্ট ব্যাবহার করবেন, সেই ডিবাইস ব্যাতীত অন্য কোন ডিবাইসে একাউন্ট লগ ইন না করার চেষ্টা করবেন।

তাছাড়া যদি ভিপিএন কানেক্ট করে থাকেন তাহলে একেবারেই একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে ফাইবার। তাই কোন ভিপিএন কিংবা একাধিক ডিবাইস ব্যাবহার করবেন না।

ক্লাইন্টের মেসেজ পেলে কুইক রেসপন্স করা

ক্লাইন্টের মেসেজ আসলে যত তাড়াতারি সম্ভব রিপ্লাই দেওয়া। দেরি করে রিপ্লাই দিলে আপনার একাউন্টের রেসপন্স রেট কমে যাবে। যারফলে রেংক হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।

সময়মাপিক কাজ ডেলিভারি দেওয়া

ক্লাইন্টের কাজের জন্য আপনি যেই সময় নিবেন আর ক্লাইন্ট আপনাকে যে সময় নির্ধারণ করে দিবে তার ভিতরেই কাজ সম্পূর্ণ করে ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করুন। কাজ যেন বায়ার ক্যান্সেল করার পর্যন্ত না নিয়ে যায় সেইভাবে কাজ জমা দিন। এর ফলে একাউন্টের রেংকিং ভালো পাবেন।

আপনি যদি ফাইবারে নতুন হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে এই বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন। আশা করি আজকের নিবন্ধনটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। যদি ফাইবারে কাজ করার নিয়ম সম্পর্কে কোন অভিমত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Next Post Previous Post